নিজস্ব প্রতিনিধি,লালমনিরহাট:  লালমনিরহাট জেলা পরিষদ  উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে  আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন লালমবিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা তার প্রাপ্ভোত ভোট শুন্য।

 উপনির্বাচনে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও হাতীবান্ধা উপজেলাস্থ আ’ লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল ২৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। গত বুধবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং) মেশিনের মাধ্যমে ৬ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা লুৎফুল কবীর সরকার ভোট গ্রহণ শেষে উক্ত  ফলাফল ঘোষণা করেন। জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নজরুল হক পাটোয়ারী দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করা এই নেতা সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতিও ছিলেন তিনি।

নির্বাচন অফিস কর্তৃক ঘোষিত ফলাফলের নথিতে পাওয়া ফলাফলে নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা, মোট ৬২৪ ভোটের মধ্যে ৬২০ ভোট প্রদান করেন এর মধ্যে শুন্য ভোট পেয়েছে ০ ভোট এবং এই  উপনির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক ২৮২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সফুরা বেগম রুমি ২৭৩ ভোট পেয়েছেন। এ ছাড়া মমতাজ আলী মোটরসাইকেল প্রতীকে ৫৮ ভোট ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকঅ্যাডভোকেট  আশরাফ হোসেন বাদল   পেয়েছেন মাত্র ৭ ভোট।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, নজরুল হক পাটোয়ারী ও সফুরা বেগম জনপ্রতিনিধি থাকার সময় দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মীর সঙ্গে সু সম্পর্ক বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন । উপ নির্বাচনে তারই প্রতিফলন ঘটেছে মর্মে অসংখ্য বিশ্বস্ত সূত্রে জানায়।

ভোলা এক সাক্ষাতকারে গণমাধ্যমকে জানান , তিনি ষড়যন্ত্রের কারণে পরাজিত হয়েছেন। ভোটে দাঁড়ানোর শুরু থেকে একাধিক চক্র তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার রাটায়। আরও মন্তব্য করেন, টাকার কাছে হেরে গেছেন তিনি।

আর এক প্রভাবশালী  চেয়ারম্যান প্রার্থী, কেন্দ্রীয় আওয়ামিলীগের সাবেক সদস্য ও জাতীয় সংসদ সদস্য সফুরা বেগমের কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।