তিস্তা নদীর আকস্মিক বন্যা পূর্বাভাস সম্পর্কিত প্রতিবেদন
(০৪ অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ০৪:০০ ঘটিকা)
ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন (CWC) এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিম এ তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতল দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গজলডোবা পয়েন্টে পানিসমতল বিগত মধ্যরাত হতে আজ সকাল পর্যন্ত প্রায় ২৮৫ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে স্থিতিশীল আছে (বর্তমান পানি সমতল ১১০.২০ মি.) । তিস্তা নদী দোমুহুনী পয়েন্টে অদ্য ভোর হতে প্রায় ১১২ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ধীরগতিতে হ্রাস পাচ্ছে (বর্তমান পানি সমতল ৮৫.৪০ মি.) ।
তিস্তা নদীর পানি সমতল ডালিয়া পয়েন্টে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ বিকাল ৪ ঘটিকার তথ্য অনুযায়ী ডালিয়া পয়েন্টের পানি সমতল বিপদসীমার ৫ সে.মি. উপরে অবস্থান করছে (বর্তমান পানি সমতল ৫২.২০ মি.) । ডালিয়া পয়েন্টে পানিসমতল আজ রাত পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫০ সে.মি. উপর পর্যন্ত উঠতে পারে। এর ফলে লালমনিরহাট ও নীলফামারি জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহ প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এরপর মধ্যরাত পর্যন্ত কিছুটা হ্রাস পেয়ে পরবর্তীতে পুনঃরায় পানিসমতল বৃদ্ধি পেতে পারে।
আজ বিকাল ৩ ঘটিকার তথ্য অনুযায়ী তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ২৮.২৮ মি. (বিপদসীমার ৪৭ সে.মি. নিচে)। কাউনিয়া পয়েন্টে পানিসমতল আগামীকাল ভোর নাগাদ বিপদসীমা (২৮.৭৫ মি.) অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে আগামী ২৪ ঘন্টায় রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাসমূহ প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতের সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় তিস্তা নদী সংলগ্ন অঞ্চলসমূহে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র
বাপাউবো, পানি ভবন, ঢাকা