লালমনিরহাট জেলার আদিতমারি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নে প্রমোদ নামের এক ব্যাক্তির পায়ুপথে হাওয়া মেশিন দিয়ে হাওয়া দেওয়ায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় অভিযোগ দায়ের বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বটতলা বাজারে গত ২৬ সেপ্টম্বর ঘটনাটি ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বটতলা বাজার আলম মেকারের দোকানে ধজেন(৩২) এবং প্রমোদ কুমার (৪০)সাইকেলের চাকায় হাওয়া দিতে আসেন,হাওয়া মেশিন দিয়ে সাইকেলে হাওয়া দেওয়া শেষ হলে ধজেন তার সহকর্মী প্রমোদ কে বলেন হাওয়া দেওয়া শেষ এখন কি তোকে হাওয়া দেওয়া লাগবে কিনা,প্রমোদ কৌতুক ছলে বলেন আমাকে হাওয়া দিলে দে।এই কথা বলা মাত্র ধজেন মিস্ত্রী ও আলম মেকার দুজনে মিলে প্রমোদের পায়ু পথে হাওয়া মেশিন ঢুকিয়ে দেয়,মেশিন মালিক আলম মেকার এসময় মেশিন চালু করে দেয়।এই ঘটনায় প্রমোদ পেট ফুলে অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুততার সাথে প্রমোদকে তার বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রমোদের এই অবস্থা দেখে তার পরিবার কি ঘটেছে জিজ্ঞেস করলে ,ধজেন বিষয়টি এড়িয়ে কৌশল করে বলেন সাইকেলের হেন্ডেলের আঘাতে পেট ফুলে গেছে।অবস্থা বেগতিক দেখে প্রমোদ কে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে হাসপাতাল কতৃপক্ষ রংপুরে স্থানান্তর করে।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ কতৃপক্ষ রোগীর ঘটনা শুনে থানায় অভিযোগ দিয়ে এসে রোগীকে ভর্তি করতে বলেন।আদিতমিরী থানায় ৩০ সেপ্টম্বর এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দেবার পর প্রোমদের চিকিৎসার কার্যক্রম শুরু করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
ধজেন এবং প্রমোদ একই এলাকার বাসিন্দা তারা একত্রে কাঠ মিস্ত্রির কাজ করেন।ঐদিন একত্রে কাজ করে এসে কি কারণে এই ঘটনা ঘটালেন তা জানা যায়নি। এই ঘটনার পর থেকে ধজেন ও আলম এলাকায় আত্মগোপনে যায়।
ধীজেন মিস্ত্রি দুর্গাপুর ইউনিয়নের গন্ধুমরুয়া এলাকার শ্রী মন্তে কান্ত রায়ের পুত্র এবং প্রমোদ কুমার গোবধা এলাকার মৃত সুধীরের পুত্র,আলম মেকার গোবধা ওয়াদুদের ভাই বলে জানা যায়।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন,এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।