![](https://englishbangla24.com/wp-content/plugins/cloud paper/assest/img/print-news.png)
নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদের মসজিদের ভেতরে স*ন্ত্রাসী হামলায় তরিকুল ইসলাম (৬০) নামের এক মুসল্লি গুরুত্বর আহত হয়েছেন।
শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। তিনি জেলা শহরের জুম্মাপাড়ার মৃত সৈয়দ ইবাদত ইসলামের ছেলে। তাকে আ*শঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতানে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই হামলার ঘটনায় পুলিশ শহরের জুম্মাপাড়ার জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও তার ছেলে সজলকে (২০) আটক করেছে। জাহাঙ্গীর আলম জেলা শহরের জুম্মাপাড়ার আব্দুল লতিফ আলীর ছেলে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই আলমগীর (৪০) পলাতক রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু তালহা ও মোয়াজ্জেম মাওলানা সাব্বির রহমানকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পক্ষে বিপক্ষে অসন্তোষ চলছিল মুসল্লিদের মধ্যে। ওই অসন্তোষকে কেন্দ্র করে শনিবার জোহরের নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে মুসল্লি তরিকুলকে আটকিয়ে রাখেন আলমগীর হোসেন। এসময় আলমগীরের বড়ভাই জাহাঙ্গীর ধারালো অ*স্ত্র দিয়ে পেটে আঘাত করলে মুসল্লি তরিকুলের ভু*রি বেরিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। নূরন্নবী দুলু (৫০) নামে এক মুসল্লি আহত তরিকুলকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে জাহাঙ্গীরের ছেলে সজলের হাতে থাকা ধরালো অ*স্ত্রের আঘাতে আহত হন তিনি (দুলু)। আহত নূরন্নবী দুলুকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ইফনুল আবেদীন।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলাম বলেন, ’পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাবা এবং ছেলেকে আটক করা হয়েছে। আলমগীর নামে একজনকে আটকে চেষ্টা চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।’