লালমনিরহাটে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা মামলার এক মাত্র আসামি আতিকুলকে গ্রেপ্তার করেছে সদর থানা পুলিশ।
জেলা সদরের গোকুন্ডা ইউনিয়ননের দারারপাড় মুন্সি টারি গ্রামে স্বামীর বেধড়ক মারপিটের আঘাতে ১ কন্যা সন্তানের জননী মিতু আক্তার (২০) শয়ন ঘরেই নিহত হয়। এঘটনায় সদর থানায় নিহত গৃহিণী মিতুর বাবা ইসলাম বাদি হয়ে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা শেষে কৌশলে হত্যাকারি ঘাতক আতিকুলকে মোস্তাফি বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর ন্যয় বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যা কান্ডের কথা স্বীকার করায় জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ প্রদান করে আদালত।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিতুর স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রী, গাঁজা সহ বিভিন্ন মাদক সেবন করতো। ঘটনার দিন গত রাতে ২০ সেপ্টেম্বর রাতে শয়ন ঘরে স্ত্রী ও সন্তানকে সাথে নিয়ে ঘুমানোর এক পর্যায়ে ঘাতক আতিকুল তার স্ত্রীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে সজোড়ে মাথায়,আঘত করলে মিতু জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। চিৎকার চেচামেচি করতে না পারলে তিনজনের ছোট্ট এই সংসারের বাড়ীতে আর কেউ না থাকার সুবাদে খুনি আতিক মিতুর মুখমন্ডল সহ সারা দেহে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকলে ঘটনা স্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওই অবিশ্বাসী খুনি স্বামী আতিক। তাদের দুজনের কোল জুড়ে ৫ মাসের এক কন্য সন্তানকে সহ সারারাত নিহত স্ত্রীর মরদেহের পাশে বসেছিল। সকালে হতে না হতেই ঘরের বাহিরে সিটকানি লাগিয়ে মৃত মায়ের পাশে শিশুটিকে রেখে আত্মগোপনে চলেযায় আতিকুল। ওই বাড়ীর পাশ দিয়ে প্রতিবেশি এক নারী হাটার সময় নিথর সেই দেহের পাশে শিশুর কান্না শুনে ঘরের দরজা খুলে শিশুটিকে কোলে নিয়ে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনা স্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ১ মে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করলে তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে পরিবারের নিকট লাশ হস্তান্তর করে। পরে খুনি আতিক পুনরায় সন্তানের খোঁজে বাড়ীতে আসার সময় মোস্তাফি বাজার এলাকায় বিচক্ষণ পুলিশ ইনচার্জ ওমর ফারুক এর নির্দেশে ওসি তদন্ত স্বপন কুমার সরকারের তদারকিকে, মামলার তদন্তকারি সাব ইন্সপেক্টর তুষার কান্তি কৌশলে ওই ঘাতক আতিকুলকে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং তারিখে ৩০২ /৩৪ পেনাল কোড এর ১৮৬০ পারিবারিক কলহের জেরে এই খুন হয় হয় মর্মে গ্রেপ্তার করেন। নিহত মিতুর বাবার বাড়ী কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট থানা এলাকায়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন সদর থানা পুলিশের একাধিক অফিসার।